হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুল্লাহ আব্বাস কা’বি জোর দিয়ে বলেন, শত্রুর পক্ষে ইরানি জাতির লৌহকঠিন মনোবল ও দৃঢ় সংকল্পকে ভাঙা অসম্ভব। এই মর্যাদাশীল ও শক্তিশালী জাতি সব সময় ইসলামী বিপ্লবের প্রতিটি ক্ষেত্রে গৌরব অর্জন করেছে।
জাতীয় ঐক্যে শত্রুরা হতবাক
তেহরানে হাওজা নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আয়াতুল্লাহ কা’বি বলেন, সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানি জনগণের অবিচল ঐক্য দেখে শত্রুরা বিস্মিত হয়েছে। সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে ইহুদিবাদী শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। এই ঐক্য ইসলামী বিপ্লবের ভবিষ্যৎ বিজয়ের প্রধান ভিত্তি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ইরানি জাতি ইতিহাসজুড়ে সংগ্রামী, ধৈর্যশীল ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির অধিকারী। এই বৈশিষ্ট্য বিশ্ববাসীকে যেমন বিস্মিত করেছে, তেমনি আমেরিকা ও ইহুদিবাদী শক্তিকে একাধিকবার পরাজয়ের মুখে ফেলেছে। এই মনোবল ও চেতনা আলেম, বুদ্ধিজীবী, বিশ্ববিদ্যালয় এবং দায়িত্বশীল মহলের মাধ্যমে আরও সুদৃঢ় করা উচিত।
জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায় আলেমরা অগ্রভাগে
আলেম ও তালাবাদের (ধর্মীয় শিক্ষার্থী) ভূমিকার কথা উল্লেখ করে আয়াতুল্লাহ কা’বি বলেন, তারা সব সময় ইসলাম ও জনগণের রক্ষায় অগ্রভাগে থেকেছে। ১২ দিনের যুদ্ধেও তারা শুধু দাওয়াত ও ব্যাখায় নয়, বরং মসজিদ ও ধর্মীয় সংগঠনের মাধ্যমে সরাসরি নিরাপত্তা রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
বর্তমান সময়ে আলেমদের দায়িত্ব
তিনি বলেন, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে আলেম ও তালাবাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ‘জিহাদে তাবিয়িন’—অর্থাৎ সত্য ও প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে শত্রুর বিভাজনমূলক ষড়যন্ত্র ও অপ্রাসঙ্গিক বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ করতে হবে।
জাতীয় ঐক্য রক্ষা করা অপরিহার্য
আয়াতুল্লাহ কা’বি জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, কোনো ইস্যু যেন এই ঐক্য ও সংহতিকে বিঘ্নিত না করে। জনগণের মনোবল অটুট রাখা এবং ইসলামী নেতৃত্বের (ওয়ালী আমর মুসলিমিন) প্রতি আনুগত্যই শত্রুকে পরাজিত করার চাবিকাঠি।
আপনার কমেন্ট